প্রেমের কবিতা: সেরা ৫০টি ভালোবাসার কবিতা
ভালোবাসার কবিতা (Valobasar Kobita): কবিতা পড়তে ও শুনতে আমরা সবাই পছন্দ করি। বিশেষকরে প্রেমের কবিতা (Premer Kobita) এর প্রতি আমাদের সবার আগ্রহ একটু বেশি থাকে। আজ আমরা ৫০টি অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রেম ভালোবাসার প্রতি যাদের দূর্বলতা আছে, তাদের অবশ্যই এই ৫০টি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা (Bangla Premer Kobita) পছন্দ হবে। প্রেম পুরোপুরি মানসিক বিষয়। এটি মানুষের মনে তৈরি হয়। যখন কোন মানুষের মনে প্রেম ভালোবাসার আবেগের উপস্থিতিতে ঘটে তখন সেই ব্যক্তি সহজে প্রেমের কবিতা লিখতে পারে। যে ব্যক্তি কখনো প্রেমে পড়েনি সে কখনো ভালোবাসার কবিতা লিখতে পারবে না। কথায় আছে মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন সে কবি হয়ে উঠে। আর সেই ক্ষণে একজন ব্যক্তি খুব সহজে ভালবাসার কবিতা (Valobashar Kobita) এবং রোমান্টিক প্রেমের কবিতা লিখতে পারে। আরো পড়ুন—রবিন্দ্রনাথের বিখ্যাত ৩০টি প্রেমের কবিতাPoem in Bengali: বাংলা কবিতাবসন্তের কবিতা Bengali Sad Shayariমেয়েদের ইসলামিক নামবাংলা ক্যালেন্ডার ১৪৩০ প্রেমের কবিতা (২০২৩) ভালোবাসা নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন “ভালোবেসে সখি নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখ তোমার মনেরও মন্দিরে”। শুধু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়, যুগে যুগে যত জ্ঞানি গুনি কবি এর আবির্ভাব হয়েছে, তারা সকলেই কবিতার মাধ্যমে প্রেম ভালোবাসার স্লো গান গেয়েছেন। আর বর্তমান যুগ ইন্টারনেট ও টেকনোলজির যুগ হওয়ার কারনে আমরা রোমান্টিক প্রেমের কবিতা এবং ভালোবাসার কবিতার মাধ্যমে নিজের প্রিয়জনকে নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করি। সেরা ৫০ টি ভালবাসার কবিতা আমরা সম্প্রতি সময়ের বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা সংগ্রহ করেছি। এই ভালোবাসার কবিতা গুলো নতুন প্রজন্মের কবিরা লিখেছেন। আমার বিশ্বাস যারা অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা খুঁজছেন কিংবা ভালোবাসার কবিতা পড়তে পছন্দ করেন, তাদের কাছে এই ৫০টি কবিতা অবশ্যই পছন্দ হবে। শোনো, কাজল চোখের মেয়ে আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে। দহনের দিনে, কিছু মেঘ কিনে যদি ভাসে মধ্য দুপুর তবু মেয়ে জানে, তার চোখ মানে কারো বুক পদ্মপুকুর। এই যে মেয়ে, কজল চোখ তোমার বুকে আমায় চেয়ে তীব্র দাবির মিছিল হোক। তাকাস কেন? আঁকাস কেন, বুকের ভেতর আকাশ? কাজল চোখের মেয়ে তুই তাকালে থমকে থাকে আমার বুকের বাঁ পাশ। তোমার চোখ চেয়েছি বলে, এমন ডুবল আমার চোখ অমন অথৈ জ্বলে রোজ, আমার ডুব সাঁতারটা হোক। শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হব ঠিক তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক। শোনো, জ্বল ছল ছল কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী, আমি তোমায় ভালোবাসি। জল জমে থাকা কাচে জ্বর হয়ে থাকা আঁচে তুমিও থাকো অসুখের মতো কী ভীষণ ছোঁয়াচে! এমন জলের রাতে নদী হই যদি যদি—তোমাকে জমা রাখি বুক অবধি। আধারের রং ছুঁয়ে তুমিও খানিক আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক। একটা তোমার মতো চাঁদের জন্য মেয়ে আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি। একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি। আমাদের এই দেখা সময়ের ভুল তবু বুক ব্যথা-ভার, চক্ষু আকুল। ততটুকু দিতে নেই যতটুকু দিলে অচেনা মিছিলে হারাবে নিজেকেই। কিছুটা নিজেরও থাক নিখোঁজ খবর- ছাপা পত্রিকা ঠিকানাটা খুঁজে পাকা। ততটুকু হোক দেনা যতটুকু হলে, ফিরে আসবার পথটুকু থাকে চেনা। আবার যখন দেখা হবে, খানিক যদি থমকে যাই বেলিফুলের গন্ধে কোথাও, একটুখানি চমকে যাই। তাকিও তখন চোখ হাসিমুখের বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে! তোমার হাসিতে মুগ্ধ হয়েছি আমি
প্রেমের কবিতা (২০২৩)
সেরা ৫০ টি ভালবাসার কবিতা
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে
তোমার চোখে চেয়ে।
দহনের দিনে, কিছু মেঘ কিনে
যদি ভাসে মধ্য দুপুর
তবু মেয়ে জানে, তার চোখ মানে
কারো বুক পদ্মপুকুর।
এই যে মেয়ে, কজল চোখ
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবির মিছিল হোক।
তাকাস কেন?
আঁকাস কেন, বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
অমন অথৈ জ্বলে রোজ, আমার ডুব সাঁতারটা হোক।
শোনো কাজল চোখের মেয়ে, আমি তোমার হব ঠিক
তুমি ভীষণ অকূল পাথার, আমি একরোখা নাবিক।
শোনো, জ্বল ছল ছল কাজল চোখের কন্যা সর্বনাশী,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
জ্বর হয়ে থাকা আঁচে
তুমিও থাকো অসুখের মতো
কী ভীষণ ছোঁয়াচে!
যদি—তোমাকে জমা রাখি বুক অবধি।
আধারের রং ছুঁয়ে তুমিও খানিক
আমায় জমিয়ে রেখো বুকের বাঁ দিক।
আমি জোছনা সকল হেলায় ভুলে থাকি।
একটা তোমার মতো মনের জন্য মেয়ে
আমি হৃদয়টাকে যত্নে তুলে রাখি।
তবু বুক ব্যথা-ভার, চক্ষু আকুল।
যতটুকু দিলে অচেনা মিছিলে
হারাবে নিজেকেই।
কিছুটা নিজেরও থাক
নিখোঁজ খবর- ছাপা পত্রিকা
ঠিকানাটা খুঁজে পাকা।
ততটুকু হোক দেনা
যতটুকু হলে, ফিরে আসবার
পথটুকু থাকে চেনা।
বেলিফুলের গন্ধে কোথাও, একটুখানি চমকে যাই।
তাকিও তখন চোখ
হাসিমুখের বুকের ভেতর কে কেঁপে যায় শোকে!
What's Your Reaction?