রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ৩০টি প্রেমের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা যুগে যুগে আমাদের মন ছুয়ে গেছে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা মধ্য যুগে যে রকম চর্চা করা হতো বর্তমানেও সেভাবে চর্চা করা হচ্ছে। Rabindranath Thakur Kobita এর মধ্যে প্রেমের কবিতাগুলো মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আজ আমরা Rabindra Thakur Kobita হতে শুধুমাত্র বাছাই করা সেরা প্রেমের কবিতা শেয়ার করব। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা লিখেছিলেন “ভালোবেসে সখি নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখ তোমার মনেরও মন্দিরে”। তিনি এই ধরনের কথা বলেছিলেন কেন না আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয় এবং বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথের কাব্য বহুবর্ণময়। তার কাব্য কখনও রক্ষণশীল ধ্রুপদি শৈলীতে, কখনও হাস্যোজ্জ্বল লঘুতায়, কখনও বা দার্শনিক গাম্ভীরে, আবার কখনও বা আনন্দের উচ্ছ্বাসে মুখরিত। এই কাব্যগুলির উৎস পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে রচিত বৈষ্ণব কবিদের পদাবলি সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের কাব্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন উপনিষদ রচয়িতা ঋষিকবিগণ। আরো কবিতা পড়ুন— সেরা ৫০টি ভালোবাসার কবিতা সুন্দরী মেয়েদের পিকচার ভালোবাসার কবিতা বসন্তের কবিতা রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ ৩০ টি প্রেমের কবিতা আমরা আজরবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা হতে বাছাই করে সেরা ৫০ টি প্রেমের কবিতা সংগ্রহ করেছি। আশাকরিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনি যদি এজন কবি প্রেমি হয়ে থাকেন, তাহলে রবী ঠাকুরের প্রেমের কবিতা আপনার মন ছুয়ে যাবে। অনন্ত প্রেম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার, কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা, অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা, অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে, চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে। আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে। আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে— পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে। আজি সেই চিরদিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে। নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি, একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি— সকল কালের সকল কবির গীতি। কপি করুন অকর্মার বিভ্রাট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাঙল কাঁদিয়া বলে ছাড়ি দিয়ে গলা, তুই কোথা হতে এলি ওরে ভাই ফলা? যেদিন আমার সাথে তোরে দিল জুড়ি সেই দিন হতে মোর মাথা-খোঁড়াখুঁড়ি। ফলা কহে, ভালো ভাই, আমি যাই খ'সে, দেখি তুমি কী আরামে থাক ঘরে ব'সে। ফলাখানা টুটে গেল, হল্খানা তাই খুশি হয়ে পড়ে থাকে, কোনো কর্ম নাই। চাষা বলে, এ আপদ আর কেন রাখা, এরে আজ চালা করে ধরাইব আখা। হল্ বলে, ওরে ফলা, আয় ভাই ধেয়ে-- খাটুনি যে ভালো ছিল জ্বলুনির চেয়ে। কপি করুন ১৪০০ সাল -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতুহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে! আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের লেশমাত্র ভাগ, আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান, আজিকার কোনো রক্তরাগ- অনুরাগে সিক্ত করি পারিব কি পাঠাইতে তোমাদের করে, আজি হতে শতবর্ষ পরে? তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার বসি বাতায়নে সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি ভেবে দেখো মনে- একদিন শতবর্ষ আগে চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি নিখিলের মর্মে আসি লাগে, নবীন ফাল্গুনদিন সকল-বন্ধন-হীন উন্মত্ত অধীর, উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা দক্ষিণসমীর সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দেয়েছে ধরা যৌবনের রাগে, তোমাদের শতবর্ষ আগে। সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে, কবি একা জাগে- কত কথা পুষ্প প্রায় বিকশি তুলিতে চায় কত অনুরাগে, একদিন শতবর্ষ আগে। আজি হতে শতবর্ষ পরে এখন করিছে গান সে কোন্ নুতন কবি তোমাদের ঘরে! আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে। আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে- হৃদয়স্পন্দনে তব, ভ্রমরগুঞ্জনে নব, পল্লবমর্মরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে। কপি করুন অভিমান -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ! বৃথা কর আস্ফালন, বৃথা কর রোষ। যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ, কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান। যতই কাগজে কাঁদি, যত দিই গালি, কালামুখে পড়ে তত কলঙ্কের কালি।
রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ ৩০ টি প্রেমের কবিতা
শেষ কথা
What's Your Reaction?