ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি অথবা নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনি অনলাইন কোর্স, বই, ইউটিউব ভিডিও বা ব্যক্তিগত ট্রেনিং থেকে শিখতে পারেন। আপনি যদি একজন শিক্ষক বা মেন্টরের কাছ থেকে শিখতে চান, তাহলে আপনি অনলাইনে বা আপনার এলাকায় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে পারেন। কালক্রমে ফ্রিল্যান্সিং এখন প্রফেশন থেকে ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। এক সময় শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতো। কিন্তু বর্তমানে অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে যারা ২০/৩০ জনের টিম তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং করছে। এক কথায় বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, মানুষ এখন ফ্রিলান্সিংকে পেশা থেকে ব্যবসায় পরিনত করেছে। [post_ads] কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? কার কাছ থেকে অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো? অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভালো হবে নাকি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখলে ভালো হবে? এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে এই পোষ্টটি পড়লে আপনি পূর্ণাঙ্গ সমাধান পেয়ে যাবেন। কারণ আমরা আজকের পোষ্টে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। কাজেই আপনার হাতে যদি সময় নাও থাকে তাহলে পোষ্টটি বুকমার্ক করে রাখুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়ার জন্য পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। আরো পড়ুন— ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন! ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় ব্লগ তৈরি করে ইনকাম করার উপায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সেরা অনলাইন জব ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করা হয়। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত ঘরে বসেই কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা হলো এটি আপনাকে আপনার নিজের সময় ও কাজের পরিবেশ বেছে নিতে দেয়। এছাড়াও আপনি একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে বেশি আয় করতে পারেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি চাকরি যেখানে আপনি নিজের মতো করে কাজ করতে পারেন, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন এবং যেকোনো ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেকোনো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কী কী প্রয়োজন? ফ্রিল্যান্সিং কি আমরা জানলাম। এবার আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে। প্রথমত একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার হলে ভালো হয়। দ্বিতীয়ত একটি ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। সবশেষে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোন একটি বিষয়ের উপর প্রচুর স্কিলড হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক কাজ আছে। আপনাকে তার মধ্যে যেকোন একটি অথবা একাধিক কাজে স্কিলড হতে হবে। একাধিক কাজ জানলে অনেক কাজ পেতে পারেন। অথবা একই শ্রেণীর একাধিক কাজ শিখতে পারেন। যেমন আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন দুইটাই শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে আপনি প্রচুর কাজ পাবেন। এছাড়া আপনার কাজের ডিমান্ডও অনেক বেড়ে যাবে। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? প্রথমত ফ্রিল্যান্সিংকে সহজ মনে করবেন না। বাস্তব জীবনে আমাদের যেমন পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয় সেরকম ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কিছু টিপস ফলো করতে পারেন । নিচে সেগুলো দেওয়া হলো— আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে কতটুকু সময় দিতে পারবেন তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে সহজ কাজ বাছাই করতে হবে। কিন্তু ফুল টাইম করতে চাইলে ভারি কাজ গুলো বাছাই করতে পারেন। তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি বিষয় নির্বাচন করুন। ভালো ফল পাবেন যদি আপনি ইতোমধ্যে পারেন এমন কোনো কাজ নির্বাচন করেন। এর ফলে আপনি কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করবেন এবং আপনার স্কিল অন্যান্য কাজের তুলনায় ভালো ডেভেলপ হবে। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে পছন্দমত কোন দক্ষতা অর্জন করুন। নতুন দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কোন দক্ষ মেন্টরের সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া কোন অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্স করায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় কোর্স করানো হচ্ছে। কোন একটি বিষয়ের উপর ভালো দক্ষতা অর্জন হয়ে গেলে কাজে নেমে পড়ুন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইলটি সুন্দর করে সাজাবেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট মুলত প্রোফাইল দেখেই সবকিছু যাচাই করে এবং কাজ দেয়। তাই প্রোফাইল সুন্দর ভাবে সাজানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রোফাইল সাজানোর পর একটি সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরী করুন। পোর্টফোলিওতে আপনার পূর্ববর্তী কাজ গুলো দেখান। এর ফলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবে। একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারলে সবথেকে ভালো সুবিধা পাবেন। Linkdn সহ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন সাইটে একাউন্ট তৈরী করুন এবং সেই একাউন্ট গুলো প্রফেশন

Oct 30, 2023 - 00:13
 0  4
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি অথবা নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আপনি অনলাইন কোর্স, বই, ইউটিউব ভিডিও বা ব্যক্তিগত ট্রেনিং থেকে শিখতে পারেন। আপনি যদি একজন শিক্ষক বা মেন্টরের কাছ থেকে শিখতে চান, তাহলে আপনি অনলাইনে বা আপনার এলাকায় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে পারেন।

কালক্রমে ফ্রিল্যান্সিং এখন প্রফেশন থেকে ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। এক সময় শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করতো। কিন্তু বর্তমানে অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে যারা ২০/৩০ জনের টিম তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং করছে। এক কথায় বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, মানুষ এখন ফ্রিলান্সিংকে পেশা থেকে ব্যবসায় পরিনত করেছে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
[post_ads]

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? কার কাছ থেকে অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো? অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভালো হবে নাকি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখলে ভালো হবে? এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে এই পোষ্টটি পড়লে আপনি পূর্ণাঙ্গ সমাধান পেয়ে যাবেন।

কারণ আমরা আজকের পোষ্টে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। কাজেই আপনার হাতে যদি সময় নাও থাকে তাহলে পোষ্টটি বুকমার্ক করে রাখুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়ার জন্য পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

আরো পড়ুন

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করা হয়। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত ঘরে বসেই কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা হলো এটি আপনাকে আপনার নিজের সময় ও কাজের পরিবেশ বেছে নিতে দেয়। এছাড়াও আপনি একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে বেশি আয় করতে পারেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি চাকরি যেখানে আপনি নিজের মতো করে কাজ করতে পারেন, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন এবং যেকোনো ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং একটি বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেকোনো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কী কী প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং কি আমরা জানলাম। এবার আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে। প্রথমত একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার হলে ভালো হয়। দ্বিতীয়ত একটি ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

সবশেষে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কোন একটি বিষয়ের উপর প্রচুর স্কিলড হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক কাজ আছে। আপনাকে তার মধ্যে যেকোন একটি অথবা একাধিক কাজে স্কিলড হতে হবে। একাধিক কাজ জানলে অনেক কাজ পেতে পারেন।

অথবা একই শ্রেণীর একাধিক কাজ শিখতে পারেন। যেমন আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন দুইটাই শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে আপনি প্রচুর কাজ পাবেন। এছাড়া আপনার কাজের ডিমান্ডও অনেক বেড়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

প্রথমত ফ্রিল্যান্সিংকে সহজ মনে করবেন না। বাস্তব জীবনে আমাদের যেমন পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয় সেরকম ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কিছু টিপস ফলো করতে পারেন । নিচে সেগুলো দেওয়া হলো—
  1. আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে কতটুকু সময় দিতে পারবেন তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে সহজ কাজ বাছাই করতে হবে। কিন্তু ফুল টাইম করতে চাইলে ভারি কাজ গুলো বাছাই করতে পারেন।
  2. তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি বিষয় নির্বাচন করুন। ভালো ফল পাবেন যদি আপনি ইতোমধ্যে পারেন এমন কোনো কাজ নির্বাচন করেন। এর ফলে আপনি কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করবেন এবং আপনার স্কিল অন্যান্য কাজের তুলনায় ভালো ডেভেলপ হবে।
  3. আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে পছন্দমত কোন দক্ষতা অর্জন করুন। নতুন দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কোন দক্ষ মেন্টরের সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া কোন অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্স করায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় কোর্স করানো হচ্ছে।
  4. কোন একটি বিষয়ের উপর ভালো দক্ষতা অর্জন হয়ে গেলে কাজে নেমে পড়ুন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইলটি সুন্দর করে সাজাবেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট মুলত প্রোফাইল দেখেই সবকিছু যাচাই করে এবং কাজ দেয়। তাই প্রোফাইল সুন্দর ভাবে সাজানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  5. প্রোফাইল সাজানোর পর একটি সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরী করুন। পোর্টফোলিওতে আপনার পূর্ববর্তী কাজ গুলো দেখান। এর ফলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবে। একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারলে সবথেকে ভালো সুবিধা পাবেন।
  6. Linkdn সহ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন সাইটে একাউন্ট তৈরী করুন এবং সেই একাউন্ট গুলো প্রফেশনালভাবে সাজান।
  7. প্রথম দিকে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। ধিরে ধিরে রেটিং এবং পজিটিভ রিভিউ বৃদ্ধি পেলে এমনিতেই বড় বড় অর্ডার পেয়ে যাবেন।
  8. লোকাল মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারেন। এর ফলে আপনি এক্সট্রা কাজ পাবেন এবং সবার সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান কোথায় পাব?

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং শেখার অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার এখন শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যেগ নিয়েছে। আপনি চাইতে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে খুব অল্প খরছে ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে পারেন। অথবা নিচের দেওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাইভেটলি প্রশিক্ষণ নেতে পারেন।

ই-শিখন (Eshikon)

ই-শিখন বাংলাদেশের অনেক পুরোনো একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান। যখন বাংলাদেশে অনলাইনে কোর্স করানোর প্রচলন ছিল না তখন তারা সিডি বিক্রির মাধ্যমে কোর্স করাতো। অতএব বুঝতেই পারছেন ই-শিখন অনেক পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক সবধরনের কোর্স আপনি কিনতে পারবেন। তারা মুলত অফলাইনে কোর্স করায়। তবে প্রত্যেকটি কোর্সের অনলাইন কপি পেয়ে যাবেন। এখানকার কোর্স গুলো সর্বনিম্ন ২০০০ টাকায় পেয়ে যাবেন।

10 মিনিট স্কুল

বর্তমানে বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্টান টেন মিনিট স্কুল। তবে টেন মিনিট স্কুলে একাডেমিক কোর্স ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সও পেয়ে যাবেন। এছাড়া প্রতিটি কোর্সের শেষে একটি করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যা আপনার পরবর্তিতে কাজে লাগতে পারে। টেন মিনিট স্কুলের কোর্স গুলোর মুল্য সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ইভেন্টে খুবই কম মুল্যে তারা কোর্স সেল করে।

কোডম্যানবিডি

আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কোর্স করতে চান তাহলে এখান থেকে করতে পারেন। এখানে মেন্টর হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টপ লেভেল ফ্রিল্যান্স্যার মশিউর রহমান। এছাড়া আরোও অনেক টপ লেভেল মেন্টর আছে যারা আপনাকে কোর্স করাবে। কোডম্যানবিডি এর কোর্সগুলো সাধারণত ৩০০০-১০০০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে।

বহুব্রীহি

বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান হলো বহুব্রীহি। এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রায় সকল কোর্স পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে তাদের মার্কেটিং কোর্স গুলো অনেক জনপ্রিয়। এছাড়া ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কোর্স এখানে পেয়ে যাবেন। বহুব্রীহি এর কোর্স ৬০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্টে তারা ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। এছাড়া কিছু ফ্রি কোর্সও পেয়ে যাবেন।

ইউডেমি

ইউডেমি বিশ্বের সবথেকে বড় কোর্স মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রায় সবধরনের কোর্স পাওয়া যায়। তবে কোর্স গুলো সাধারণত ইংরেজি ভাষায় হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি ইংরেজি বোঝেন তাহলে এখানকার কোর্স গুলো করতে পারেন। বিশ্বের অনেক টপ মেন্টরদের কোর্স আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। ইউডেমি এর কোর্সের নির্দিষ্ট কোন মুল্য নেই। তবে সর্বনিম্ন মূল্য ৫ ডলার হয়ে থাকে।

বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

এছাড়া আপনার নূন্যতম সামর্থ না থাকাতে বা আপনি চাচ্ছেন যে, বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়! ফ্রিল্যান্সিং শেখার ইচ্ছা শক্তি ও মনোবল থাকলে বর্তমানে আপনি বিভিন্ন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। নিচে সেরা কয়েকটি মাধ্যম ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো—

বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যম

ইউটিউবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রচুর ভিডিও পেয়ে যাবেন। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন নিয়ে পুরো প্লে লিস্ট তৈরী করে রেখেছে। এছাড়া অনেক দক্ষ ফ্রিল্যান্স্যার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণ ফ্রিতে শেখায়। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক কাজ যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি কাজ ইউটিউব থেকেই শিখে নিতে পারবেন। নিচে ৫ টি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের নাম দেওয়া হলো যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন—

1. ঝনকার মাহবুব

আশাকরি আপনারা অনেকেই ঝনকার মাহবুবকে চেনেন। তিনি একজন জনপ্রিয় টপ লেভেল ফ্রিল্যান্স্যার। ঝনকার মাহবুব সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কোডিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাসিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করে। তাই আপনি ব্যাসিক ধারণা পেতে ঝনকার মাহবুবের ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে আসতে পারেন।

2. খালিদ ফারহান

খালিদ ফারহান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স্যার। তিনি মুলত আপওয়ার্ক সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে রাইটার হিসেবে কাজ করে। খালিদ ফারহান ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে থাকে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়া খালিদ ফারহানের অনেক কোর্স রয়েছে।

3. ফ্রিল্যান্স্যার নাসিম

ফ্রিল্যান্স্যার নাসিমকে হয়তো আমরা অনেকেই চিনি। তার চ্যানেল অনেক জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্স্যার নাসিমের চ্যানেলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের মোটিভেশন এবং ব্যাসিক ধারনা পেয়ে যাবেন। এছাড়া তার জনপ্রিয় অনেক কোর্সও রয়েছে।

4. প্রোকোডার বিডি

এই চ্যানেলটির অনেক জনপ্রিয়তা প্রাপ্য। তবে এটি এখনো তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি। এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক অনেক কোর্স করতে পারবেন। এই ভিডিও গুলো সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অনেক পেইড কোর্স থেকেও ভালো।

5. কোডম্যানবিডি

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এখানে পেয়ে যাবেন। এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি ইত্যাদি ব্যাসিক কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে সম্পূর্ণ প্লেলিস্ট এখানে পেয়ে যাবেন।

ব্লগ পোস্ট পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

বর্তমানে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রচুর ব্লগ রয়েছে। এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং না শিখতে পারলেও অনেক ধারনা এবং টিপস পাবেন। যেমন Hubspot একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্লগ যেখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। নিচে জনপ্রিয় তিনটি ব্লগ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

1. Hubspot

হাবস্পট একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্লগ। এখানে মার্কেটিং বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করা হয়। সম্পূর্ণ পোস্ট একদম ফ্রি। আপনি যদি ধৈর্য্য ধরে পোস্ট গুলো পড়েন তাহলে মার্কেটিং বিষয়ক অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

2. W3schools

W3schools একটি জনপ্রিয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ওয়েবসাইট। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ স্টেপ বাই স্টেপ শিখতে পারবেন এবং অনুশীলন করতে পারবেন। এছাড়া এখানে কোডিং বিষয়ক অনেক ব্লগ পোস্ট পেয়ে যাবেন।

3. Backlinko

এটিও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক জনপ্রিয় ব্লগ। বিশেষ করে মার্কেটিং এবং এসইও বিষয়ক বিভিন্ন কেস স্ট্যাডি এখানে পড়তে পারবেন। ব্লগ পোস্টে আর্টিকেলের মাঝে মাঝে গল্প আকারে অনেক কিছু বোঝানো হয় তাই অনেক মজা পাবেন।

সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ

সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অসংখ্য বিষয়ের উপর আপনি কাজ করতে পারবেন। এর মধ্যে আপনার পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে একটি বেছে নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে ১০ টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ উল্লেখ করা হলো—
  1. ডিজিটাল মার্কেটিং
  2. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
  3. ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট
  4. কন্টেন্ট রাইটিং
  5. গ্রাফিক্স ডিজাইন
  6. ভিডিও এডিটিং
  7. ডাটা এন্ট্রি
  8. ট্র্যান্সলেশন
  9. প্রুফ রিডিং
  10. প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং

প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন পন্য বা সেবা প্রচার করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর।

বর্তমানে ছোট, বড় ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে নিজেদের পন্য বা সেবা প্রচার করে, ফলে এই কাজের পরিধি যেমন বাড়ছে তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের চাহিদাও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে প্রচুর শ্রেনীবিভাগ আছে। চাইলে এক বা একাধিক কাজ শিখে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত কিছু জনপ্রিয় কাজ উল্লেখ করা হলো।
  • এসইও
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • পেইড এডভার্টাইজিং
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং

২. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটি জনপ্রিয় শ্রেণি। ইন্টারন্যাশনাল এবং লোকাল মার্কেট দুই জায়গাই ওয়েবসাইটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 

ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুই ক্ষেত্রেই ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া পন্য ক্রয় বিক্রয়, শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম, সরকারি কার্যক্রম ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায়।

মুলত এ কারণেই ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবথেকে বেশী রেটে ওয়েবসাইট বিষয়ক কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে অনেকেই এটি বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের পন্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় এবং প্রচারের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করে।

অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই ভালো পরিমাণে পেমেন্ট পেতে চাইলে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট কে বেছে নেওয়া যেতে পারে।

৩. ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট

ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় সিএমএস বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীর প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী। বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেসে দিন দিন অনেক ফিচার যুক্ত হচ্ছে ফলে এর জনপ্রিয়তা আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ওয়ার্ডপ্রেসের এই জনপ্রিয়তার কারনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ক প্রচুর কাজ আছে। আর ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ম্যানেজ করা তুলনামূলক সহজ তাই ক্লায়েন্ট প্রচলিত ওয়েবসাইটের থেকে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী ওয়েবসাইট বেশি পছন্দ করে। 

ওয়ার্ডপ্রেস শেখা তুলনামূলক সহজ এবং কম সময়ে শেখা যায়। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়ক প্রচুর কাজ আছে। তবে এই সেক্টরে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক বেশি। তাই আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর সাথে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ। প্রায় প্রতিটি কোম্পানি মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে তাদের লোগো, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করে। 

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ তুলনামূলক বেশি সাথে পারিশ্রমিকও অনেক দেওয়া হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। কারন স্মার্টফোনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক কাজ আপনি করতে পারবেন না। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
  • UI/UX ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • টি শার্ট ডিজাইন
  • মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • বুক কভার ডিজাইন

৫. কন্টেন্ট রাইটিং

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটিং অনেক জনপ্রিয় এবং সম্মানীয় একটি কাজ। বর্তমানে এসইও, ব্লগ রাইটিং, ভিডিও স্ক্রিপ্ট, বুক রাইটিং ইত্যাদির জন্য কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন হয়। এছাড়া মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে অনেকে কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে। মুলত এ কারনে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রচুর চাহিদা। 

যাদের ভাষাগত জ্ঞান অনেক ভালো এবং কোন একটি বিষয়ে অনেক দক্ষ তাদের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং একটি সেরা কাজ। কন্টেন্ট রাইটিং আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটিং এর পারিশ্রমিক অনেক বেশি। 

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনাকে ভালো ভাবে ইংরেজি শিখতে হবে। ইংরেজি শেখার পাশাপাশি ব্যাকরণগত জ্ঞান এবং একাডেমিক ইংলিশ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে কিছু শ্রেণিবিভাগ আছে। কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • ব্লগ পোস্ট
  • সিভি রাইটিং
  • ভিডিও স্ক্রিপ্ট
  • বুক রাইটিং
  • কপিরাইটিং

৬. ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডাটা এন্ট্রি তুলনামূলক সহজ একটি কাজ। নতুনদের জন্য ডাটা এন্ট্রির সবথেকে ভালো। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে যেমন দ্রুত টাইপিং, মাইক্রোসফট এক্সেল, স্প্রেডশিট ইত্যাদি।

নতুন ফ্রিল্যান্স্যার যারা অল্প দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে চায় তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রি অনেক ভালো একটি উপায়। ডাটা এন্ট্রি তুলনামূলক সহজ হওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এর চাহিদা অনেক বেশি। ফলে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। 

তবে কিছু দিন ধৈর্য্য ধরে কাজ করতে থাকলে এই সেক্টরেও সফল হওয়া যায়। ডাটা এন্ট্রির ব্যাসিক কাজ গুলো আপনি ইউটিউব দেখে শিখে নিতে পারবেন। আরোও কিছু শিখতে চাইলে একটি কোর্স কিনতে পারেন।

৭. ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটর প্রয়োজন হয়। যেমন কোন একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট এডভার্টাইজিং, বিজনেস প্রমোশন, কোন স্টোরি উপাস্থাপনার জন্য ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং করতে হয়। 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং বিষয়ক প্রচুর কাজ রয়েছে। তবে ভিডিও এডিটিং করতে হলে আপনাকে সফটওয়্যার বিষয়ক প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্মার্টফোন দিয়ে আপনি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন না। কারন অন্যান্য কাজের তুলনায় ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো অনেক এডভান্স হয়ে থাকে যা স্মার্টফোন দিয়ে সম্ভব না। 

ভিডিও এডিটিং করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ভালো পেমেন্ট পাবেন। তাছাড়া এই সেক্টরে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম।

৮. ট্রান্সলেশন

এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করাই হলো ট্রান্সলেশন। আপনি যদি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হন তাহলে ট্রান্সলেশনের কাজ করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ট্রান্সলেশন বিষয়ক অনেক কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক বড় বড় প্রোজেক্টও পেতে পারেন।

যেমন সম্পূর্ণ একটি বই বা উপন্যাস অনুবাদ করা। ট্রান্সলেশনের কাজ করতে হলে আপনাকে একাধিক ভাষা জানলেই হবে না। ব্যাকরণগত জ্ঞান থাকা লাগবে। অনেকগুলো ভাষায় একসাথে ট্রান্সলেট করতে পারলে আপনি অনেক কাজ পাবেন।

৯. প্রুফ রিডিং

প্রুফ রিডিং অনেকটা ট্রান্সলেশনের মতোই তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কোন একটি আর্টিকেল, বই, উপন্যাস ইত্যাদি পড়ে তার সঠিকতা যাচাই করতে হবে। বর্তমানে বেশিরভাগ লেখক তাদের লেখাই ভুল ভ্রান্তি পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রুফ রিডিং করায়। এর ফলে কোন বানান, বাক্য অথবা ব্যাকরণগত কোন ভুল থাকলে তা শুধরে নেওয়া যায়। 

আপনি যদি প্রুফ রিডার হতে চান তাহলে আপনাকে ভাষাগত দিক দিয়ে অনেক দক্ষ হতে হবে। এছাড়া কোন একটি বাক্য কিভাবে গঠন করলে একজন পাঠক পড়তে সাচ্ছন্দবোধ করবে সেই সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। প্রুফ রিডিং সম্পূর্ণ মেধার উপর নির্ভর করে। তবে এই সেক্টরে পেমেন্ট তুলনামূলক কম তবে কাজ অনেক পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিযোগিতা কম থাকাই আপনি এই কাজটি বেছে নিতে পারেন।

১০. প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কঠিন কাজ গুলোর মধ্যে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট একটি। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন একটি প্রোজেক্ট কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় সে সম্পর্কে অনেক জ্ঞান থাকা লাগবে। 

প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট করতে হলে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, কমিউনিকেশন স্কিল, বাজেটের সঠিক ব্যবহার করা ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান থাকা লাগবে। এই কাজটি অন্যান্য কাজের তুলনায় তুলনামূলক অনেক কঠিন তবে প্রচুর পেমেন্ট একসাথে পাওয়া যায়। আপনার যদি প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের উপর ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে এই কাজটি বেছে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন?

বর্তমানে আপনি বিভিন্ন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। নিচে সেরা কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. ইউটিউব

ইউটিউবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রচুর ভিডিও পেয়ে যাবেন। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন নিয়ে পুরো প্লে লিস্ট তৈরী করে রেখেছে। এছাড়া অনেক দক্ষ ফ্রিল্যান্স্যার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণ ফ্রিতে শেখায়। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক কাজ যেমন ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি কাজ ইউটিউব থেকেই শিখে নিতে পারবেন।

২. কোর্স

বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রচুর কোর্স পেয়ে যাবেন। ইংলিশ কোর্স করতে চাইলে Udemy থেকে আপনি কোর্স কিনতে পারেন। এছাড়া বাংলা কোর্স করতে চাইলে বহুব্রীহি, ই-শিখন, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি স্থান থেকে কোর্স কিনতে পারেন।

৩. ব্লগ পড়ে

বর্তমানে ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রচুর ব্লগ রয়েছে। এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং না শিখতে পারলেও অনেক ধারনা এবং টিপস পাবেন। যেমন Hubspot একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং ব্লগ যেখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

শেষ কথা

এইছিলো আমাদের আজকের আলোচনা। আজকে আমরা শিখলাম ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিয়ে। আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার ক্যারিয়ার জীবনে কাজে আসবে। প্রতিনিয়ত এমন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
[no_toc]

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow